অনলাইন টিউটরিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণ
Inspirational

অনলাইন টিউটরিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণ

Binoy Roy

Binoy Roy

Published on April 9, 2025

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে শিক্ষার পদ্ধতিও অনেক পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো অনলাইন শিক্ষার প্রসার। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে অনলাইন টিউটরিং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীরা এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজেদের পড়াশোনাকে সহজ এবং সুবিধাজনক ভাবে পরিচালনা করতে পারছে। কিন্তু কেন অনলাইন টিউটরিং এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই জনপ্রিয়তার পেছনের কারণগঃ


১. সময় এবং স্থানের সীমাবদ্ধতা নেইঃ অনলাইন টিউটরিংয়ের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটি সময় এবং স্থান নির্বিশেষে করা যায়। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে, দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বা বিশ্বের যেকোনো স্থানে থেকেই অনলাইন টিউটরিং ক্লাস করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ঝামেলা ও সময় সাশ্রয় করতে সাহায্য করে।

একইভাবে, শিক্ষকদেরও তাদের কাজের সময় ও স্থানের সুবিধা থাকে। একজন শিক্ষক অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে যেকোনো সময় সংযুক্ত হতে পারেন, যা প্রথাগত ক্লাসরুমে সম্ভব নয়। ফলে, অনলাইন টিউটরিং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতি হিসেবে গড়ে উঠেছে।

২. সেরা শিক্ষকদের সহজলভ্যতাঃ অনলাইন টিউটরিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশের সেরা শিক্ষক বা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা এমন শিক্ষক পায় যারা তাদের শহরে বা আশেপাশে পাওয়া যায় না। অনলাইন টিউটরিং এই সমস্যা দূর করেছে এবং শিক্ষার্থীরা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সেরা শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। এর ফলে শিক্ষার গুণগত মানও উন্নত হচ্


৩. ব্যক্তিগত মনোযোগঃ অনলাইন টিউটরিংয়ে সাধারণত শিক্ষার্থী সংখ্যা কম থাকে বা একক শিক্ষার্থীও থাকতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগত মনোযোগ পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে। শিক্ষার্থীরা যখন প্রথাগত ক্লাসরুমে পড়ে, তখন শিক্ষক অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে মনোযোগ ভাগ করতে হয়। কিন্তু অনলাইন টিউটরিংয়ে শিক্ষক সরাসরি একক শিক্ষার্থীর উপর মনোযোগ দিতে পারে, যা শিক্ষার্থীর শেখার প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত এবং দ্রুততর করে তোলে।


৪. টেকনোলজির ব্যবহারঃ অনলাইন টিউটরিংয়ে শিক্ষার মান উন্নত করতে টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। ভার্চুয়াল হোয়াইটবোর্ড, ভিডিও কনফারেন্সিং টুল, অনলাইন কুইজ এবং ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয় এবং কার্যকরী করে তোলা যায়। শিক্ষার্থীরা অনলাইন টুলসের মাধ্যমে ক্লাস করে আরও বেশি উৎসাহিত হয় এবং শেখার প্রক্রিয়াতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।


৫. সহজে ক্লাস রেকর্ড এবং পুনঃদেখার সুবিধাঃ অনলাইন টিউটরিংয়ের আরেকটি বড় সুবিধা হলো ক্লাসগুলো সাধারণত রেকর্ড করা হয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাস মিস করলে তা পরবর্তীতে দেখতে পারে এবং তাদের শেখার প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখতে পারে। প্রথাগত ক্লাসরুমে এটি সম্ভব নয়, কিন্তু অনলাইন টিউটরিংয়ে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।


৬. খরচ সাশ্রয়ীঃ অনলাইন টিউটরিং সাধারণত প্রাইভেট টিউটরের তুলনায় কম খরচে করা যায়। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত খরচ বাদ পড়ে এবং অনেক সময় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গ্রুপ টিউটরিং বা প্যাকেজ সুবিধার কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বেশ সাশ্রয়ী হয়। এর ফলে, অনলাইন টিউটরিং এখন বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি হয়ে উঠেছে।


অনলাইন টিউটরিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে এর সময় ও স্থান নিয়ে নমনীয়তা, সেরা শিক্ষকদের সহজলভ্যতা, ব্যক্তিগত মনোযোগ, প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং খরচ সাশ্রয়। BacBon Tutors-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অনলাইন টিউটরিংকে আরও সহজ ও কার্যকরী করে তুলেছে। অনলাইন টিউটরিংয়ের এই প্রসার শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতে শিক্ষার পদ্ধতিকে আরও উন্নত এবং সহজ করে তুলবে।


রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুনঃ  https://bacbontutors.com/




Share this article